প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' জালিয়াতির মাধ্যমে চাহিদাপত্র ও ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে প্রায় ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ১০ কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।'
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৯ ও ১০)।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
* দুদক সূত্র জানায়, একটি মামলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম (৬২), সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল হাশিম (৬১), দেওয়ানহাট হার্টিকালচারের সাবেক নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক কাজী নুরুল আবছার, দেওয়ানহাট হার্টিকালচার সেন্টারের উচ্চমান সহকারী আব্দুল হালিম ওরফে মোহাম্মদ আবদুল হালিম (৪৩), টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (৪২), ক্যাশিয়ার ফিরোজ খাঁনকে আসামি করা হয়েছে।
' মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে মাঠ পর্যায়ের উপজেলা কৃষি অফিস ও হর্টিকালচার সেন্টার থেকে অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র ছাড়া অনুমোদনের নথি উপস্থাপন না করে জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস ও হর্টিকালচার সেন্টারে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকা বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করেন।'
পরে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোডগুলোর আওতায় ব্যয় দেখিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।
* দুদক সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের স্টোর কিপার অলিউল্লাহ প্রধান, সিনিয়র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নাফিসা সরকার (৪৮), প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল হাসেম ও ক্যাশিয়ার জাহিদ হাসানকে।
/ জালিয়াতির মাধ্যমে ছয় কোটি টাকা আত্মসাৎ, ১০ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মাম /
তাদের বিরুদ্ধে একই অর্থ বছরে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে মোট ৫৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
' দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ছয় কোটি টাকা আত্মসাৎকারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই চক্রের নাটের গুরু হলেন সাবেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।'
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।